বৃহস্পতিবার ( ৭ জানুয়ারি) দুপুুর সাড়ে ১২টায় জেলা অাওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বর্তমান সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে, ও সনি বিশ্বাসকে নৌকার প্রার্থী করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই সমাবেশ চলে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।
এর অাগে সকাল ১১ টা থেকে ‘ষড়যন্ত্র করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না, জয় জয় হবে জয় নৌকা মার্কার হবে জয়’ ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, নৌকার প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের অাহবায়ক অালী মর্তুজা বিশ্বাস সনি।
যুবলীগের যুগ্ন অাহবায়ক শিবলী সাদিক বলেন, করোনা ভাইরাসের শুরুতে সনি বিশ্বাস যখন, পরিবার পরিজনকে বিসর্জন দিয়ে গরিব দুঃখি মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন তখন অন্য নেতারা ভয়ে ঘর থেকে বের হতো না, সেই জন্য জননেত্রী সনি ভাইকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশের দুইদিন পরের এই সমাবেশ ঘিরেও পাবনা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা অাছে ।
নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরকে চ্যালেঞ্জ করে মাঠে নেমেছে দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। সনি বিশ্বাসের বিপরীতে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন প্রধান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব হাসান টিপু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত রবিবার (৩ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর এই উত্তেজনা আরও বেড়েছ। কারণ, বিদ্রোহী দুই প্রার্থীই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিদ্রোহীদের মধ্যে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন প্রধানের অবস্থান শক্ত। প্রতিদিনই তার সমর্থকরা মিছিল-মিটিং করছেন। পারা-মহল্লায় শোডাউন দিচ্ছেন।
আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব হাসান টিপুর সমর্থকরাও মিছিল মিটিং করছেন।
অপরদিকে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনিও প্রতিদিনই পথসভা ও নির্বাচনী সভা করছেন।
ফলে তিন প্রার্থীর সমর্থকদের মিছিল-মিটিং নিয়ে পাবনা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে শহরে উত্তেজনা চলছে। পরস্পরের শক্ত অবস্থানের কারণে মিছিল-মিটিংয়ে মুখেমুখি হলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
পাবনা পৌরসভা ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার ৪০ জন আর নারী ভোটার ৫৪ ২০৪ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৭৪ জন আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে জানা গেছে।